নোয়াখালীতে গণধর্ষণ ঘটনায় নয় জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হলেও ‘মূল হুকুমদাতা’ রুহুল আমিনকে আসামি করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন মামলার বাদি।
বাদী বলেন,'আমি পড়ালেখা না জানায় এবং স্ত্রীর মুমূর্ষু অবস্থা নিয়ে দিশেহারা থাকায় এটা আর মাথায় আসেনি। তবে ঘটনার মূল হোতা রুহুল আমিন। কিন্তু মামলায় তার নামই নেই।'
তিনি বলেন, চরজব্বার থানা পুলিশ তাকে সোমবার রাতে মামলা করার জন্য পুলিশের গাড়িতে করে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে তিনি পুলিশের কাছে ঘটনার বর্ণনা দেন। পুলিশ তার দেওয়া জবানবন্দি অনুযায়ী একটি অভিযোগ লিখে নেয়। তবে পুলিশ তাকে এজাহারটি পরে শোনায়নি এবং কাদের আসামি করা হয়েছে তাও তাকে বলেনি।
মামলার বাদীর অভিযোগ, সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মো. রুহুল আমিনের নেতৃত্বে তার ১০-১২ জন অনুসারী রোববার গভীর রাতে তাদের ঘরের ভেতরে পুলিশ পরিচয়ে ঢোকে এবং তাকে ও তার সন্তানদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে রেখে তার স্ত্রীকে ঘরের বাইরে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় যদি উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
এ অভিযোগের বিষয়ে চরজব্বার থানার ওসি মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, বাদী যাদের নাম বলেছে তাদেরকে আসামি করা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, বাদী ও তার স্ত্রী যদি রুহুল আমিন মেম্বারকে শনাক্ত করে থাকে তাহলে তদন্ত করে দেখা হবে।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াস শরীফ বলেন, মামলার বাদি যদি রুহুল আমিন মেম্বারকে শনাক্ত করে তাহলে তদন্ত স্বাপেক্ষে তাকে আসামি করার সুযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ৯ আসামির মধ্যে ৩ জনকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।