মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার সরকারী গাছ নিয়ম-নীতির তোক্কায় না করেই কেটেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে গাছের বেশি ভাগ উধাও হয়ে গেছে। তবে উপজেলা প্রশাসন এব্যাপারে কিছুই জানে বলে দাবী করেছেন। আর পৌর মেয়রের দাবী, এসব বিষয় তার জানা নেই।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, রাজৈর পৌরসভার দীঘিরপাড় এলাকার মানুষের যাতায়াতের জন্য একটি পাকা সংযোগ সড়ক করার পরিকল্পনা করে পৌর কর্তৃপক্ষ। এজন্য কৃষি অফিসের পুরোনো (একটি বিল্ডিং ভাংগা হবে) ও ৯টি গাছ কেটে সড়ক করার কাজ শুরু করে। তবে এই স্থান থেকে মাত্র তিন থেকে চার ফিট পশ্চিম পাশ দিয়ে সড়কটি নেওয়া হলে বেঁচে যেতো ৯টি গাছ। তাও কোন টেন্ডার ছাড়া নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই গাছগুলো কেটে ফেলে পৌরসভা। এতে উপজেলার সরকারি কৃষি অফিসের ৭টি রেইট্রি ও পোড়াহল থেকে টেকেরহাট শাহ সুফি জোনাব আলী রোড়ের সামনে প্রায় অর্ধশত বছর পুরোনো আরো ২টি গাছ কাটা হয়েছে। তবে এর মধ্যে দুটি গাছ নিজেদের বলে দাবি করছে অরুপ ঘোষ নামের এক ব্যক্তি। সেই গাছ হরিলুট হয়ে গেছে। তবে এব্যাপারে কারোই কোনো মাথা ব্যথা নেই। কেউ কিছুই জানে না বলে দাবী করেছে যথাযথ কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে রাজৈর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা ফরহাদুল মিরাজ বলেন, ‘এই গাছগুলো মাপামাপি করে আমাদের ভিতর পড়ে নাই। সেই হিসেবে চেয়াম্যান, ইউএনও, মেয়র সবাই রাস্তা করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গাছগুলোর ব্যাপারে সিন্ধান্ত পরে হবে। গাছগুলো পৌরসভার পক্ষ থেকে কেটেছে।’
এব্যাপারে অরুপ ঘোষ বলেন, ‘মাপে গাছগুলো আমরা পেয়েছি। তবে গাছের ব্যাপারো কোনো সিন্ধান্ত হয়নি। তাই কেটে রাখা হচ্ছে। পরে সবাই গাছের ব্যাপারে সিন্ধান্ত দিবে।’
এ ব্যাপারে রাজৈর বন কর্মকর্তা আনোয়া হোসেন বলেন, ‘গত মাসিক মিটিং-এ রাস্তার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। তবে এব্যাপারে ইউএনও স্যার ও কৃষি অফিসার ভালো বলতে পারবে।’
এ ব্যাপারে রাজৈর পৌর মেয়র শামীম নেওয়াজ বলেন, ‘এই গাছ কাটছে কৃষি অফিস। তবে গাছগুলো অরুপদের। গাছ আমাদের না, তাই আমরা কাটবো না। আমি এসব বিষয় জানি না।’
এ ব্যাপারে রাজৈর উপজেলা চেয়ারম্যান শাজাহান খান বলেন, আমরা গাছ কাটার কথা কেউ বলিনি, তবে আমরা সরজমিনে গিয়ে, কৃষি অফিসের ভবন থেকে ৩ ফিট রেখে রাস্তা করার কথা বলেছি। আমরা কোনো গাছ কাটতে বলিনি কাউকে।’
এ ব্যাপারে রাজৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহানা নাসরিন বলেন, ‘আমার গাছ কাটার বিষয়টা জানা নেই।’