নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে কোচিং বাণিজ্য

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট কেসি পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের সামনে একটি কোচিং সেন্টারে প্রবেশ করছে শিক্ষার্থীরা

ছবি : বাংলাদেশের খবর

শিক্ষা

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে কোচিং বাণিজ্য

  • ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১০ মার্চ, ২০১৯

সরকারি নিষেধাজ্ঞা ও হাইকোর্টের আদেশকে উপেক্ষা করে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে চলছে রমরমা কোচিং বাণিজ্য। কোচিং বানিজ্য বন্ধে সরকারের আইন এবং হাইকোর্টের আদেশের পরেও ঘোড়াঘাটের কোচিং সেন্টার গুলো বহাল তবিয়তে থেকে বাণিজ্য করে যাচ্ছে। উপজেলার সরকারী স্কুল-কলেজ ও এমপিওভুক্ত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা বাসা ভাড়া নিয়ে নামে-বেনামে চালাচ্ছে এই কোচিং বাণিজ্য। আর কিছু শিক্ষক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণী কক্ষেই চালাচ্ছে কোচিং। সেখানে সকাল,বিকেল ও সন্ধায় চলছে শিক্ষকদের প্রাইভেট পাঠদান।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার পৌর এলাকাতেই রয়েছে অর্ধশতাধিক কোচিং সেন্টার। মহিলা ডিগ্রী কলেজের পাশে, ওসমানপুর হাই স্কুলের সামনে,ওসমানপুর সরকারী কলেজের পিছনে ও কেসি পাইলট স্কুলের আশেপাশে শিক্ষকরা গড়ে তুলেছে তাদের বানিজ্য কেন্দ্র। একাধিক প্রতিষ্ঠানের শ্রেণীকক্ষেই শিক্ষকরা সকাল ৬টা থেকে ৯টা ও বিকাল ৪টা থেকে সন্ধা ৬টা পর্যন্ত চালাচ্ছে কোচিং বানিজ্যে। তবে সরকারের নিষেধাজ্ঞার পর কিছুটা কৌশল অবলম্বন করে শিক্ষকরা কোচিং সেন্টার গুলোর সাইন বোর্ড খুলে বেনামেই এগুলো পরিচালিত করছে। খোজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার প্রায় বিদ্যালয়ের কোন না কোন শিক্ষক কোচিং বানিজ্যের সাথে জড়িত রয়েছেন।

বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ছোট্ট একটি ঘর ভাড়া নিয়ে অথবা নিজ বাড়িতে ১ ঘন্টার একটি ব্যাচে ১৫ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থীকে একত্রে পড়ানো হচ্ছে।শিক্ষার পরিবেশ সেখানে নেই বললেই চলে।কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ১ ঘন্টা করে মাসে ২০-২৫ দিন তাদেও পড়ানো হয়। আর ফি বাবত মাসে ৩‘শ থেকে ৫‘শ টাকা করে দিতে হচ্ছে তাদের। কেন কোচিং করছো জিজ্ঞাসা করলে শিক্ষার্থীরা বলে, ক্লাসে তো আমাদেরকে সবকিছু পড়ানো হয় না। তাই বাধ্য হয়ে কোচিং করতে যাই। তাছাড়া পরিক্ষায় ভালো ফলাফল করবো কিভাবে।

একাধিক কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধানদের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তারা কোচিং বা প্রাইভেট পড়ানোর কথাটি স্বীকার করে বলেন, কিছু শিক্ষক আমাদের অজান্তে নিজ বাসা-বাড়িতে প্রাইভেট পড়িয়ে থাকেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শাহাৎত হোসেন জানান, প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান প্রধানকে এ ব্যাপারে নিদের্শনা দেয়া হয়েছে।ঘোড়াঘাটে আগের তুলনায় কোচিং বানিজ্যে অনেকাংশে কমে এসেছে। যদি সরকারি বা এমপিও ভুক্ত কোন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোচিং বানিজ্যের অভিযোগ প্রমানিত হয়, তবে তাদের এমপিও বাতিল করা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনের প্রয়োগ করা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads