টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে এখনো প্রবেশ করছে মিয়ানমারের উৎপাদিত ইয়াবা। অথচ এই মাদক পাচার প্রতিরোধে অত্র উপজেলায় আইন-শৃংখলা বাহিনীর চলমান যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে। তথ্য সুত্রে দেখা যায়, গত ৩ মাসের মধ্যে মাদক কারবারীদের মধ্যে গোলাগুলি ও কথিত বন্দুক যুদ্ধে মাদক কারবারে জড়িত ৪৫ জন ব্যাক্তি নিহত হয়েছে। পাশাপাশি মাদক পাচারে অভিযুক্ত হয়ে প্রায় দেড় শতাধিক ব্যাক্তি মাদক ব্যবসাকে ঘৃনা জানিয়ে নিজের ইচ্ছা আত্মসমর্পন করার প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা এত কঠোর হওয়ার পরও কেন থামছেনা ইয়াবা পাচার? টেকনাফ সীমান্তে এই ইয়াবা পাচারে এখন কারা জড়িত?
সেই সুত্র ধরে আজ মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে টেকনাফে ২ বিজিবি সদস্যদের অভিযানে আবারো ২ লাখ ৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। তবে এই ইয়াবা গুলোর সাথে জড়িত কোন অপরাধীকে আটক করতে পারেনি বিজিবি।
বিজিবি জানায়, মঙ্গলবার টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়ন ঝিমংখালী জাফর প্রজেক্ট একটি লবণ মাঠ দিয়ে সন্দেহভাজন একদল লোক বস্তা মাখায় নিয়ে নয়াবাজার এলাকার দিকে যাচ্ছিলো। বিজিবি সদস্যরা তাদের থামানোর চেষ্টা করলে তারা আরো সামনের দিকে দৌড়াতে থাকে। এসময় বিজিবি সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে অবশেষে বস্তা গুলো পেলে সু-কৌশলে পালিয়ে পাচারকারী চক্র। এরপর ঘটনাস্থল তল্লাশী করে বস্তা গুলো উদ্ধার করে বস্তার ভিতরে রক্ষিত থাকা ২লাখ ৫০ হাজার ইয়াবা পাওয়া যায়। উদ্ধারকৃত ইয়াবা গুলোর আনুমানিক মুল্য ৭ কোটি ৫০লাখ টাকা বলে জানায় বিজিবি।
অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ ২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আছাদু-জ্জামান চৌধুরী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমাদের সদস্যরা এই ইয়াবা গুলো উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মাদক পাচার প্রতিরোধ ও মাদক বিরোধী চলমান অভিযানের মধ্যে এখনো কারা ইয়াবা পাচারে জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে আমাদের সদস্যদের চলমান অভিযান আরো কঠোর হবে।