চালক ও পথচারীদের অসচেতনতার কারণে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেন হলেও কমেনি দুর্ঘটনা। মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ৪৪ কিলোমিটার এলাকায় গত এক বছরে নিহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক ব্যক্তি। আহত হয়েছেন তিন শতাধিক নারী, শিশু ও পুরুষ। নিহতদের মধ্যে গাড়ির চালক ও হেলপারের সংখ্যাই বেশি। চৌদ্দগ্রাম থানা, চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিস, মিয়াবাজার হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি ও সাপ্তাহিক চৌদ্দগ্রাম পত্রিকা সুত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন; ৩ জানুয়ারি কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় শ্রীপুর ইউনিয়নের বাগৈ গ্রামের ট্রাফিক পুলিশ সদস্য প্রভাত চন্দ্র সিংহ, ৫ ফেব্রুয়ারি সৈয়দপুরে ট্রাকের চাপায় জগমোহনপুরের আবু হানিফ প্রকাশ কালা, ৬ ফেব্রুয়ারি চান্দিশকরায় চৌদ্দগ্রাম-লাকসাম সড়কে অটোরিকশার ধাক্কায় অজ্ঞাতনামা এক মেয়ে, ১২ ফেব্রুয়ারি কালির বাজার এলাকায় বগুড়া জেলার শেরপুরের ফিরোজ মিয়ার পুত্র হুমায়ন আহম্মেদ, ১৭ ফেব্রুয়ারি নাটাপাড়ায় সোনাকাটিয়া গ্রামের নুর হোসেন স্ত্রী জেসমিন আক্তার, ২০ ফেব্রুয়ারি কেছকিমুড়া এলাকায় চিওড়া ইউনিয়নের ডিমাতলী গ্রামের কামাল উদ্দিনের স্ত্রী মায়া বেগম, ২১ ফেব্রুয়ারি সুজাতপুর রাস্তার মাথায় নাঙ্গলকোট উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের আঙ্গুলখোড় গ্রামের মৃত মফিজুর রহমানের পুত্র মোঃ শাহীন, ২৪ ফেব্রুয়ারি আমানগন্ডা এলাকায় উজিরপুর ইউনিয়নের জগমোহনপুর গ্রামের আবদুল বারেকের পুত্র ছাত্রলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল হারুন, ৭ মার্চ বালুজুড়ি এলাকায় নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার লক্ষীনারায়নপুর গ্রামের আমির হোসেনের পুত্র বেলাল হোসেন, ১৮ মার্চ চিওড়া ইউনিয়নের সারপটি গ্রামের সফিকুর রহমান ভূইয়ার বড় পুত্র রফিকুল ইসলাম ভুঁইয়া ফারুক, ২১ মার্চ চৌদ্দগ্রাম সরকারি কলেজ এলাকায় রাজশাহীর তানোর উপজেলার এরশাদ আলীর পুত্র এবং এনজিও সংস্থা মুসলিম এইডের চৌদ্দগ্রাম শাখার ফিল্ড অফিসার মোটর সাইকেল আরোহী ইমরান আলী, ২৭ মার্চ সোনাকাটিয়া এলাকায় ট্রাকচালক চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানার ধুরুং গ্রামের মৃত গোলাম মাহমুদের ছেলে নাছির উদ্দিন, হেলপার কক্সবাজারের চকরিয়া থানার সিকান্দার পাড়ার দুদু মিয়ার পুত্র মোজাম্মেল ওরফে কালু, ২৯ মার্চ বৃহস্পতিবার নোয়াবাজার এলাকায় কভার্ডভ্যান হেলপার ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া থানার ছোনাইতা গ্রামের নুরুল হকের পুত্র মোঃ আবদুল্লাহ, ১২ এপ্রিল নবগ্রাম-মুন্সিরহাট সড়কের মালেক ব্রিকস্ ফিল্ড এলাকায় শুভপুর ইউনিয়নের পাশাকোট গ্রামের বাবুল মিয়ার পুত্র রাকিব উদ্দিন, ১৮ এপ্রিল চৌদ্দগ্রাম বাজারে মাগুরা সদর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মরহুম পিলাম হোসেনের পুত্র বিজিবি সদস্য আবুল কালাম, ২৩ এপ্রিল ধনুসাড়া রাস্তার মাথায় লাকসাম উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের তৈয়ব আলীর পুত্র জয়নাল আবেদীন, ৪ মে চিওড়া-ঢালুয়া সড়কে আলকরা ইউনিয়নের কাইচ্ছুটি গ্রামের আবুল খায়েরের মেয়ে নাছিমা আক্তার, ১৫ মে চৌদ্দগ্রাম বাজারে রুহুল আমিন, ১৭ মে পদুয়া এলাকায় অজ্ঞাতনামা ২ জন, ১৯ মে নোয়াবাজার এলাকায় দিনাজপুর জেলার কোতয়ালী থানার বড়কুলহাট গ্রামের মৃত রাজা মিয়ার পুত্র আনোয়ার হোসেন, ২৪ মে মুন্সিরহাট ইউনিয়নের দেড়কোটা গ্রামের মরহুম এছাক ভুঁইয়ার পুত্র পিকআপ চালক মোঃ রাসেল, ১০ জুন কাইচ্ছুটি এলাকায় আলকরা ইউনিয়নের শিলরী গ্রামের মরহুম খন্দকার বজলুর রহমানের পুত্র সড়ক দুর্ঘটনায় খন্দকার জাকির হোসেন, ১৬ জুন মিয়াবাজার এলাকায় উজিরপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের পশ্চিম পাড়ার প্রবাসী সেলিম ড্রাইভারের পুত্র ছাত্রদল নেতা সাকিব হোসেন, ৪ জুলাই মিয়াবাজারে কভার্ডভ্যান চাপায় অজ্ঞাত এক নারী, ৬ জুলাই হায়দারপুল এলাকায় ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার রেজপাতা গ্রামের সিরাজ মিয়ার পুত্র মিরাজ মিয়া, ১০ জুলাই নোয়াবাজার এলাকায় ঘোলপাশা ইউনিয়নের শফিউল্যাহর পুত্র মোঃ খোকন, ১৯ জুলাই লাটিমী এলাকায় কভার্ডভ্যান চালক বগুড়া সদর উপজেলার চাঁদমুখা গ্রামের নুর নবী, বঙ্গবন্ধু স্কয়ার এলাকায় নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার তদারপুর গ্রামের মরহুম আবদুর রবের পুত্র রিকশাচালক দুলাল মিয়া, ২০ জুলাই ঘিনাগাজী এলাকায় বাসযাত্রী ফরিদপুর সদর থানার দীঘুনিয়া গ্রামের বানছারাজ সুত্রধরের পুত্র স্বপন কুমার সুত্রধর, পাবনার আতাইকুলা থানার রঘুনাথপুর গ্রামের জিন্দার আলীর পুত্র আসাদ মল্লিক, ২৩ জুলাই সাতঘড়িয়ায় ময়নামতি ফিলিং স্টেশন এলাকায় অজ্ঞাত পরিচয়ের এক সুন্দরী নারী, ২৯ জুলাই চিওড়া ইউনিয়নের শাকতলা গ্রামের জিকির হোসেন, ১ আগস্ট পৌর এলাকার মরহুম মমতাজ উদ্দিনের স্ত্রী অজিফা খাতুন, ২৫ আগস্ট ঘোলপাশা ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের শুক্কুল মিয়ার পুত্র মোটর সাইকেল চালক পারভেজ হোসেন, ২৯ সেপ্টেম্বর চৌদ্দগ্রাম বাজারের উত্তর পাশে পৌর এলাকার নোয়াপাড়া গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার সবজি বিক্রেতা ফিরোজ আহাম্মদ সোহাগের মেয়ে স্কুল ছাত্রী উম্মে রুমান মারজানা, ২ অক্টোবর বসন্তপুর ব্রিজের সাথে ধাক্কা লেগে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর থানার চারিয়া গ্রামের মোটর সাইকেল চালক সাজ্জাদ করিম অভি, ৭ অক্টোবর মিয়াবাজারে ঘোলপাশা ইউনিয়নের সলাকান্দি গ্রামের মরহুম লালু মিয়া মজুমদারের পুত্র আতর ইসলাম মজুমদার, ১০ অক্টোবর শ্রীপুর ইউনিয়নের ভিতরচর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে এয়াকুব আলী সবুজ, ৩০ অক্টোবর লাটিমী রাস্তার মাথায় আলকরা ইউনিয়নের ধোপাখিলা গ্রামের হাবিবুর রহমানের স্ত্রী শাহেনা বেগম, ২ নভেম্বর ট্রেনিং সেন্টার এলাকায় মোঃ সুমন নামের এক যুবক, ৫ নভেম্বর বসন্তপুর এলাকায় ফেনীর ফুলগাজী এলাকার কিছমত বিজয়পুর গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে কভার্ডভ্যান চালক মজনু, ২৬ নভেম্বর চৌদ্দগ্রাম বাজারে পৌর এলাকার মধ্যম শ্রীপুর গ্রামের মৃত বাঁচা মিয়ার স্ত্রী ও যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিন স্বপনের মাতা আনোয়ারা বেগম, ২৯ নভেম্বর পদুয়ায় ফেনী সদর উপজেলার জগইরগা গ্রামের শেখ ফরিদ আহম্মদের ছেলে এবং রাজাপুর বাজারের ব্যবসায়ী শাহাদাৎ হোসেন, পৌর এলাকার লক্ষীপুর গ্রামের জালাল আহমেদের পুত্র আজিজ আহমেদ, ২ ডিসেম্বর মিয়াবাজারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার কাছাইর গ্রামের জাকির মিয়ার ছেলে সাইদুর রহমান, ১০ ডিসেম্বর উজিরপুর ইউনিয়নের পূর্ব কাশিপুর গ্রামের লাল মিয়া, ১১ ডিসেম্বর জামালপুর সদর উপজেলার তাড়াগান্ধা গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে কভার্ডভ্যান হেলপার মোঃ শান্ত, ১৩ ডিসেম্বর চৌদ্দগ্রাম-লাকসাম রোড এলাকায় লালমনিরহাট জেলার কালিগঞ্জ থানার ইশরকুল গ্রামের সৈয়দের ছেলে সবুজ, ১৬ ডিসেম্বর খালাসি মসজিদের সামনে ঘোলপাশা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর(কেন্ডা) গ্রামের মৃত রঙ্গু মিয়ার ছেলে ব্যবসায়ী সোলেমান, ২০ ডিসেম্বর নোয়াখালী সুধারাম থানার পূর্বচর চোল্লাপুর গ্রামের ফেরদৌস মিয়ার ছেলে কভার্ডভ্যান হেলপার সরোয়ার হোসেন, ২৪ ডিসেম্বর মুন্সিরহাট ইউনিয়নের পেছাইমুড়ি গ্রামের সৌদি প্রবাসী আহসান উল্যাহর পুত্র রাহাত ইসলাম।
এ ব্যাপারে মিয়াবাজার হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আবুল হোসেন, ‘দুর্ঘটনাগুলোর খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশগুলো উদ্ধার করি। লাশের পরিচয় সনাক্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে সড়কে চলাচলে গাড়ির চালক ও পথচারীদের সচেতন হলেই সড়ক দুর্ঘটনা কমে যাবে’।