চাঁদপুর পৌরসভা সাধারণ নির্বাচন আগামী ১০ অক্টোবর। ইতোমধ্যে প্রচারণা তুঙ্গে। নির্বাচনের আমেজ বইছে চার দিকে। এই প্রথমবার ইভিএম পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু নির্বাচনে ৫২টি কেন্দ্রের মধ্যে অধিকাংশ কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মনোনীত ধানের শীষ মেয়র প্রার্থী আক্তার হোসেন মাঝি।
জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমের বিভিন্ন সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি’র প্রার্থী এই অভিযোগ করেন। এছাড়াও বিএনপির প্রার্থী আক্তার হোসেন মাঝি প্রতিদিন গণসংযোগ, উঠান বৈঠকে কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ ও আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী নির্বাচন আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করে আসছেন।
বুধবার (০৭ অক্টোবর) সকালে মুঠোফোনে ধানের শীষের প্রার্থী আক্তার হোসেন মাঝি বলেন, নির্বাচনের দিন প্রশাসন সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমান আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থাকলে কোন ধরণের বিশৃঙ্খলা থাকবে না। প্রশাসনের কাছে আমি বার বার নিরাপত্তা ও নির্বাচনের পরিবেশ বজায় রাখার জন্য অনুরোধ করে আসছি।
ঝুঁকিপূর্ন কেন্দ্রের বিষয়ে আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, আমাদের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী চাঁদপুর পৌর এলাকার ২১টি ভোট কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। যার জন্য আমরা ওইসব কেন্দ্রে অতিরিক্ত ৬জন পুলিশ সদস্য রাখার ব্যবস্থা করবো। এছাড়াও প্রয়োজনে মোবাইল টিমগুলো কাজ করবে।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মাজেদুর রহমান খান বলেন, নির্বাচন সঠিকভাবে পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। কোন প্রার্থীর অভিযোগ থাকলে আমাদেরকে লিখিত জানাতে পারে। আর আইন শৃঙ্খলা ও নির্বাচন আচরণ বিধি যাতে লঙ্গন না হয় সে জন্য আমাদের ৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ১৫টি ওয়ার্ডে পৃথকভাবে কাজ করছে।
জেলা নির্বাচন কমিশন কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, মেয়র প্রার্থী ৩ জন, সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ৫০ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী ১৪ জন। নির্বাচনে ১৫টি ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্র ৫২টি। সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড সংখ্যা ৫টি। ভোট কক্ষ সর্বমোট ৩০৫টি। অস্থায়ী ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ২৩টি। মোট ভোটার সংখ্যা (ক) পুরুষ ৫৮ হাজার ১৪৪জন। (খ) মহিলা ভোটার ৫৮ হাজার ৩৪৩জন। সর্বমোট ভোটার সংখ্যা ১লাখ ১৬ হাজার ৪৮৭জন।





