সেলিম সানোয়ার পলাশ, গোদাগাড়ী (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওটি রুম থাকলেও এখনো শুরু হয়নি অপারেশনের কার্যক্রম। যার ফলে গ্রামাঞ্চলের অসহায় গরিব দঃখী সাধারন রোগীরা জরুরী বিভাগের মাইনোর সার্জারী থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দির্ঘ দিন আগে ৩১ শয্য থেকে ৫০ শয্যা উন্নতি হয়ে ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন হলেও অপারেশন কার্যক্রম চালু না হওয়ায় ব্যহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে বহিঃ বিভাগে প্রতি দিন গড়ে ২৫০ থেকে ৩০০ জন রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসে। এ ছাড়াও গড়ে ৪০ থেকে ৪৫ জন রোগী প্রতি দিন ভর্তি থেকে চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকে।
গ্রামাঞ্চলের অসহায় গরিব দঃখী সাধারন রোগীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাইনোর সার্জারী থেকে বঞ্চিত হয়ে সার্জারীর জন্য রাজশাহী সদরে হাসপাতালে যাচ্ছে। সেখানে উৎপেতে থাকা দালালরা গ্রামাঞ্চলের সহজ সরল মানুষকে ভুল বুঝিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন ক্লিনিকে। ক্লিনিকে মাইনোর সার্জারী করাতে গিয়ে সর্বশান্ত হচ্ছে গ্রামাঞ্চলের সহজ সরল রোগীরা।
ওটির ইন্চার্জ নার্স নাসিমা বেগম বলেন, ওটির রুম থাকলেও পুনাঙ্গ সরামজম নাই। ওটির সরামজম ও এ্যানথেসিয়া কনসাল্টেন থাকলে ওটির কার্যক্রম চালু করা সম্ভব। তিনি আরো বলেন, এ্যানথেসিয়া কনসাল্টেন এর পদ টি গত ৩ বছর থেকে শুণ্য আছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ৩ বছর আগেও ওটির কার্যক্রম চলতো না।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মেসবাউল হাসান জানাই, কমপ্লেক্সে ওটির রুম থাকলেও পুনাঙ্গ ওটি রুম নাই। এ্যানথেসিয়া কনসাল্টেন পদটি শূণ্য থাকায় ওটির কার্যক্রম চালু করা যাচ্ছে না। তবে এ্যানথেসিয়া কনসাল্টেন থাকলে ওটির কার্যক্রম শুরু করা যেত। তিনি আরো বলেন, ওটির সরামজম ও এ্যানথেসিয়া কনসাল্টেন পদটি পুরনের জন্য উর্দ্ধোতন কতৃপক্ষের কাছে চাহিদা পত্র প্রেরন করা হয়েছে। উপজেলাবাসী গোদাগাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওটির কর্যক্রম দ্রুত চালু করার জোর দাবি জানিয়েছে।