কুলাউড়ায় অপহরণকৃত কিশোরকে শ্রীমঙ্গল থেকে উদ্ধার

আটক তিন অপহরণকারী

ছবি : বাংলাদেশের খবর

অপরাধ

কুলাউড়ায় অপহরণকৃত কিশোরকে শ্রীমঙ্গল থেকে উদ্ধার

অপহরণকারী চক্রের ৩ সদস্য আটক

  • কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১ জুন, ২০১৯

তারাবির নামায পড়ে বের হওয়ার পর অমি (১৬) নামক এক কিশোরকে অপহরণ করা হয়। পুলিশের সহায়তায় ৬ ঘন্টা পর শ্রীমঙ্গলের ভাড়াউড়া ইউনিয়নের ইসবপুর গ্রাম থেকে কিশোরকে উদ্ধার করা হয়। সেইসঙ্গে ঘটনার সাথে জড়িত অপরণকারী চক্রের ৩ সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।

গতকাল শুক্রবার ৩১ মে রাত আনুমানিক ১০ টায় কুলাউড়া উপজেলার থানা মসজিদ থেকে তাকে অপহরণ করা হয়

অমি কুলাউড়া উপজেলার রাউৎগাঁও এলাকার বাসিন্দা মো. আব্দুল হাসিমের ছেলে। বর্তমানে তারা পৌর শহরের মাগুরায় বসবাস করেন।

অমি’র পরিবারের লোকজন জানান, শুক্রবার রাতে প্রতিদিনের ন্যায় কুলাউড়া থানা মসজিদে তারাবির নামায পড়তে যায়। নামায শেষে মসজিদ থেকে বের হলে একদল অপহরণকারী থাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরিবারের লোকজন বিষয়টি কুলাউড়া থানা পুলিশকে অবহিত করেন। মৌলভীবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলামের নেতৃত্বে, কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়ারদৌস হাসান ও কুলাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় চক্রবর্তীসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভাড়াউড়া ইউনিয়নের ইসবপুর গ্রামের ৪ নং পুলের পাশে অবস্থিত একটি পরিত্যাক্ত অন্ধকার ঘর থেকে ভোর রাতে অমিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কুলাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় চক্রবর্তী জানান, এঘটনায় অপহরণকারী চক্রের ৩ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলো কুলাউড়া পৌর শহরের মাগুরা এলাকার বাসিন্দা রেদোয়ান আহমদ (২৮), হৃদয় মিয়া (২৫) ও আলমগীর হোসেন (২৪)। তাদের নামে অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করাই তাদের টার্গেট ছিলো। তবে অপহরণের ঘটনা তারা স্বীকার করেছে।

এ ব্যাপারে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়ারদৌস হাসান জানান, অমিকে অপহরণ করে অপহরণকারীরা ১ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবি করেছিল। বিষয়টি শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুস ছালেকের সহযোগিতায় উদ্ধার করা হয়।

মৌলভীবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলাম জানান, অমিকে শ্রীমঙ্গলের ইসবপুর এলাকার একটি পরিত্যাক্ত অন্ধকার ঘরে আবদ্ধ করে দরজা বন্ধ করে রেখেছিল অপহরনকারীরা। অপহরনকারীরা যে ঘরে অমিকে রেখেছিলো সেই ঘরটির চারপাশে ছিল কাঁটা তারের বেড়া। শনিবার ভোর রাতে আমরা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads