গাজীপুরের কালিয়াকৈরে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার মৌচাক এলাকার সাইফুল ইসলামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে তার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
নিহত ঝর্ণা আক্তার (৩০) টাঙ্গাইল জেলার,গোপালপুর থানার, চানপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী। সে স্বামী ও সন্তানসহ উপজেলার মৌচাক এলাকার সাইফুল মোল্লার বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় কোকাকলা কারখানায় চাকরি করতো। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত একটি দাঁড়ালো ছুঁড়ি উদ্ধার করেছে।
জানা যায়, ১৩ বছর আগে প্রেমের সম্পর্কে জাহাঙ্গীর আলমের সাথে ঝর্ণা আক্তারের বিবাহ হয়। তাদের ঔরসজাত দু‘টি সন্তান রয়েছে। ঝর্না আক্তার কারখানায় চাকুরী করলেও জাহাঙ্গীর ছিল সম্পূর্ণ বেকার এবং মাদকাসক্ত। এই নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। পারিবারিক কলহের জের ধরে মঙ্গলবার রাতে স্বামী জাহাঙ্গীর আলম তার স্ত্রী ঝর্ণা আক্তরকে দাঁড়ালো ছুড়ি দিয়ে গলাকেটে হত্যার পর ঘরের ভিতর লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহম্মেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
কালিয়াকৈর থানার ওসি মোঃ মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি ধাড়ালো ছুড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। ঘাতক স্বামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।





