আজ একটি সম্পূর্ণ নতুন প্রোগ্রামের কথা পাঠকদের জানাবো, যা বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষের কাছে অনেকটাই নতুন। প্রোগ্রামটি হলো ইন্টারন্যাশনাল সামার প্রোগ্রাম। সবচেয়ে কম খরচে কম সময়ে বিদেশি ইউনিভার্সিটিতে প্রোগ্রাম করার সুযোগ। প্রোগ্রামের মূল্য উদ্দেশ্য হচ্ছে- শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্ঞান-বিজ্ঞান, সংস্কৃতি ও যোগাযোগ বিনিময় করা। প্রোগ্রামটি সাধারণত ১-৮ সপ্তাহের হয়ে থাকে, যা সর্বোচ্চ ৩-৪ ক্রেডিট হিসেবে গণনা করা হয়। এই প্রোগ্রামের বিশেষ সুবিধা হলো, যে ইউনিভার্সিটির আওতায় প্রোগ্রামটি করবেন ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকা-খাওয়া, ইন্স্যুরেন্স, এয়ারপোর্ট পিকআপ-ড্রপ ও ভিসা ডকুমেন্টসসহ সবকিছুর ব্যবস্থাপনা করবে। এতে প্রোগ্রাম ফি, থাকা-খাওয়া, ইন্স্যুরেন্স, এয়ারপোর্ট পিকআপ, ড্রপ ও ট্যুর বাবদ সাধারণত সর্বনিম্ন ৮০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জনপ্রতি ধরা হয়ে থাকে। অনেক ইউনিভার্সিটি আবার তৃতীয় শ্রেণির দেশের (বাংলাদেশ) ছাত্রছাত্রীদের জন্য সামার প্রোগ্রামের ওপর ট্রাভেল স্কলারশিপ বা ডিসকাউন্টের ব্যবস্থা করে থাকে।
আবেদনের শর্তাবলী : অবশ্যই ডিগ্রি ও অনার্স পাস অথবা অধ্যয়নরত হতে হবে। ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হতে হবে। আইইএলটিএস থাকলে ভালো। না থাকলে ‘ইংরেজি জানেন’ মর্মে ২ জন শিক্ষকের সুপারিশনামা নিতে হবে। ইউনিভার্সিটির অফার করা প্রোগ্রাম বা সাবজেক্টের শিক্ষার্থী হতে হবে।
সুবিধাসমূহ : পড়াশোনার পাশাপাশি বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভ্রমণের সুযোগ। যথা- কানাডা, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপ। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা-খাওয়ার সুযোগ। বিশ্ববিদ্যালয়ে পরবর্তী পড়াশোনার সুযোগ পান (যদি পড়তে চান)। ভিসা পাওয়ার কোনো জটিলতা থাকে না। এম্বেসিগুলো ৯৯% ভিসা দিয়ে থাকে। ইংরেজি বলা ও শেখার সুযোগ। ওই দেশের বিভিন্ন লোকেশনে ভ্রমণের সুযোগ, যা ওই বিশ্ববিদ্যালয় করে থাকে। ওই দেশে পড়াশোনা শেষে চাকরি ও স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ।
বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ : কানাডার বিশ্ববিদ্যালয় হলো- ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো, ম্যাকগেইল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব আলবার্টা। আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো- হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি, ইয়েল ইউনিভার্সিটি, নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো- ইউনিভার্সিটি অব মেলবোর্ন, ইউনিভার্সিটি অব সিডনি, ইউনিভার্সিটি অব এডেলেইডি। ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়- ইউনিভার্সিটি অব অসলো (নরওয়ে), মিউনিখ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (জার্মানি), স্টকহোম ইউনিভার্সিটি (সুইডেন)। জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো- ওয়াসেদা ইউনিভার্সিটি, সোফিয়া ইউনিভার্সিটি, মেইজি ইউনিভার্সিটি। দক্ষিণ কোরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো- সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, উনসি ইউনিভার্সিটি, হ্যানিয়াং ইউনিভার্সিটি।
আবেদনের নিয়মাবলি : ভৌগোলিক কারণে পৃথিবীতে একেক সময় একেক দেশে গ্রীষ্মকাল হয়ে থাকে। আপনি যে ইউনিভার্সিটিতেই আবেদন করবেন, ন্যূনতম ৬ মাস আগে আপনাকে আবেদন করতে হবে। ইউনিভার্সিটিগুলোর ওয়েবসাইট গুগলে সার্চ করলেই পাবেন। তাদের ওয়েবসাইটগুলো ফ্রিকোয়েন্টলি ভিজিট করতে থাকুন। দেখুন কোন ইউনিভার্সিটিতে সহজেই আবেদন করতে পারেন।
জুনায়েদ আলম