উখিয়ায় পাহাড় ধ্বংস করে বালি উত্তোলন

উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের তুতুরবিলে নির্বিচারে পাহাড় ধ্বংস করে অবৈধ বালি উত্তোলন করা হচ্ছে

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

অপরাধ

উখিয়ায় পাহাড় ধ্বংস করে বালি উত্তোলন

বিট কর্মকর্তাকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা

  • উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮

ইনানী রেঞ্জের আওতাধীন উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের তুতুরবিল এলাকায় সামাজিক বনায়ন উজাড় করে নির্বিচারে পাহাড় ধ্বংস করে অবৈধ বালি উত্তোলন করে যাচ্ছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। স্থানীয় রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বিট কর্মকর্তা পাহাড় ধ্বংস করে বালি উত্তোলনের দৃশ্য দেখে ও রহস্যজনক কারনে না দেখার ভান করে আছেন। স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্থ লোকজন ও সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীরা উক্ত পাহাড় ধ্বংস করে বালি উত্তোলনের ঘটনায় বিট কর্মকর্তা ও রেঞ্জ কর্মকর্তাকে দায়ী করেছেন।

তুতুরবিল ঘুরে দেখা যায়, বিশাল আকারের একটি সুউচ্চ পাহাড়ের সাথে ৭/৮ জন শ্রমিক পাহাড়ের একাংশে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধ বালি উত্তোলনের ফলে পাহাড়ের অস্থিত্ব বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয় কামাল হোসনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, সে বিট কর্মকর্তা আমির হোসেন গজনবীকে টাকা দিয়ে বালি উত্তোলন করেছেন।

স্থানীয় আবুল শমা অভিযোগ করে বলেন, সরকার ১৯৯১-৯২ সনে উক্ত পাহাড়ে সামাজিক বনায়ন করেছিল। আমিও একজন সামাজিক বনায়নের উপকারভোগী। কিন্তু এলাকার চিহ্নিত বালি বানিজ্যকারী রাজাপালং গ্রামের মুফিজ উদ্দিনের ছেলে ছালামত উল্লাহ ও তুতুরবিল গ্রামের শামশুল আলমের ছেলে আলা উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ বালি সিন্ডিকেট স্থানীয় বিট কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে এসব চালিয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয় মুদির দোকানদার আবুল কাশেম জানান, সারা দিন বালিও মাটিভর্তি ডাম্পার গাড়ী চলাচলের কারনে দিনের বেলায় দোকান বন্ধ করে রাখতে হয়। গ্রামীন সড়কে ভারী যানবাহন চলাচলের কারনে রাস্তাঘাট নষ্ট হয়ে স্কুল, মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল কবির জানান, পাহাড় ধ্বংস করে বালি উত্তোলন করা পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি। তাই বিষয়টি তিনি বিট কর্মকর্তা ও রেঞ্জ কর্মকর্তাকে একাধিকবার অভিযোগ করেও কোন কাজ হয়নি।

এ ব্যাপারে ইনানী রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ ইব্রাহিম হোসেন জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পাহাড় কাটার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিট কর্মকর্তা আমির হোসেন গজনবী পাহাড় থেকে বালি উত্তোলনের কথা স্বীকার করলেও টাকা নেওয়ার কথা তিনি অস্বীকার করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads