আগামী জুনের শেষ দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। যেখানে পূর্ণাঙ্গ ক্রিকেট সিরিজ খেলবে টাইগার শিবির। এই সফরে থাকছে দুটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। বলতে গেলে লম্বা সফর। তার আগে আফগানিস্তানের সঙ্গে জুনের প্রথম সপ্তাহে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। উইন্ডিজ সফরের আগে আফগান সিরিজই শেষ প্রস্তুতিমূলক টুর্নামেন্ট। দীর্ঘদিন পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাওয়া বাংলাদেশ দল বেশ ভালো করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন জাতীয় দলের পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি। যিনি কিছুদিন আগে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তিনি থাকবেন কি থাকবেন না, তা নিয়ে সংশয় থাকলেও টিম বাংলাদেশকে নিয়ে আশাবাদী ২৬ বছর বয়সী এই পেসার। গতকাল মিরপুরে তিনি বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজে বাংলাদেশ দল অনেক ভালো করবে এটাই আশা করি। কারণ আমরা এখন ভালো অবস্থায় আছি। সব ফরম্যাটেই আমাদের খেলার অভিজ্ঞতা আছে। সবাই খেলার ভেতরে আছে। আশা করি, ভালো একটা সিরিজ যাবে।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের আবহাওয়া নিয়ে তেমন কোনো অসুবিধা দেখছেন না রাব্বি, ‘ওখানকার আবহাওয়া গরম। বাংলাদেশেও তাই। তাই কোনো ঝামেলা হবে না। ওখানকার উইকেটও স্পোর্টিং, যখন আমি খেলেছিলাম। খুব বেশি ঘাস থাকবে না। আমার মনে হয় না খুব বড় চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। কিন্তু আমাদের মাঠে ভালো পারফর্ম করতে হবে।’
দলে ভালোমতো নিজের ফেরা প্রসঙ্গে রাব্বি বলেন, ‘আমি অবশ্যই চাইব দলে ফিরতে। কর্তৃপক্ষ যদি আমার উপরে ভরসা রাখে, তাহলে অতীতের ভুল শুধরে কামব্যাক করতে চাই। মাঝে আমি চম্পকা ও ওয়ালশের সঙ্গে প্র্যাকটিস করেছি। মূল কাজ ছিল নির্দিষ্ট জায়গায় বল ফেলা। এ ছাড়া কিছু রিস্ট নিয়ে কাজ করেছি। সুইং নিয়ে কাজ করছি। বিসিএলে আমি একটা ম্যাচে ৫ উইকেট, পরের ম্যাচে ৪ উইকেট পেয়েছি। বিসিএলের পারফরম্যান্সে মনে হচ্ছে ভালো করব।’
বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়া নিয়ে হতাশ নন রাব্বি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি চুক্তিতে ছিলাম কেন- পারফর্ম করেছিলাম। এখন আমি নেই। তার মানে এই নয় যে, আমি আবার আসতে পারব না। ভালো করতে পারলে আবার ফিরব চুক্তিতে। আর্থিকভাবে সমস্যা অবশ্যই আছে কিন্তু কেন্দ্রীয় চুক্তির বা আমাদের বেতনের ওপর কিন্তু আমরা নির্ভরশীল নই। ঢাকা লিগ, বিপিএল, জাতীয় ক্রিকেট লিগ, বিসিএল আছে। এসব নিয়ে এখন ভাবছি না। চিন্তাও করছি না। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকলে আত্মবিশ্বাস কাজ করে। আমি চুক্তিভুক্ত খেলোয়াড়। এটা আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।’
সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে প্রত্যাশা মেটানো প্রসঙ্গে রাব্বির মূল্যায়ন, ‘আমি যখন খেলা শুরু করি তখন জাতীয় ক্রিকেট লিগে সর্বোচ্চ উইকেট লাভ করি। এবং প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ উইকেট পাই। তখন আমাকে কোনো ব্যাটসম্যান চিনত না। আউট সুইং না ইনসুইং। কোনটা ভালো করি। আমার আজ নয় বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ার। সবাই জানে যে কামরুল ইসলাম রাব্বী কী বোলিং করে। জাতীয় দলের নেটে অনেক বোলিং করেছি। এখন প্রিমিয়ার লিগে ম্যাচ খেলছি, অন্যান্য লিগেও খেলছি।’
                                
                                
                                        
                                        
                                        
                                        




