ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আবারো নিয়োগ বাণিজ্যের অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়েছে। এবারও বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচিত সমালোচিত ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের অডিও ফাঁস হয়েছে। এই ঘটনায় অনুষ্ঠিতব্য নিয়োগ বোর্ডটি স্থগিত করা হয়েছে এবং ঘটনায় জড়িত দুই শিক্ষককে তাৎক্ষণিকভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বরখাস্ত শিক্ষকরা হলেন ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক রুহুল আমিন এবং ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবদুর রহিম। এদের মধ্যে রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বেও বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যের অডিও ফাঁস হয়।
শুক্রবার (২৮ জুন) বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী অনুষ্ঠিতব্য নিয়োগ বোর্ড স্থগিত ও দুই শিক্ষককে বহিস্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আগামীকাল (২৯ জুন) সিন্ডিকেট সভায় বিষয়টি তোলা হবে। একইসাথে ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করার ব্যপারেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ এদিকে দূর্নীতিকারীদের বিরুদ্ধে উপাচার্যের এমন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সচেতন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, শুক্রবার (২৮ জুন) ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি দৈনিক পত্রিকায় ইবির শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যের অডিও সংক্রান্ত প্রতিবেদন ছাপানো হয়। এতে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে একজন প্রার্থীর সঙ্গে ওই দুই শিক্ষকের আর্থিক লেনদেন ও চুক্তি সংক্রান্ত দুটি কথোপকথোন রয়েছে।
৮ মিনিট ৩৫ সেকেন্ডের ওই অডিও ক্লিপটিতে শোনা যায়, শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে আরিফ হাসান নামের এক প্রার্থীর সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে আলাপ করেন ওই দুই শিক্ষক। এসময় প্রার্থীর সঙ্গে ১৮ লাখ টাকার চুক্তি হয় তাদের। মোট টাকার মধ্যে ১০ লাখ নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ড শুরুর আগে এবং বাকি ৮ লাখ টাকা সিন্ডিকেটে চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পাওয়ার পর পরিশোধের বিষয়ে আলাপ হয় তাদের।
প্রসঙ্গত, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডটি আগামীকাল (২৯ জুন) শনিবার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে অডিও ফাঁসের ঘটনায় সেটি স্থগিত করেছে বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নানা অনিয়মের অভিযোগে এনিয়ে তিনবার এই বোর্ডটি স্থগিত হলো বলে জানা গেছে।
বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে প্রমান পাওয়ায় তাৎক্ষণিক তাদেরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। নৈতিক অবক্ষয়সম্মন্ন কারোরই ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ে ঠাঁই হবে না। দূর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স অব্যহত আছে এবং থাকবে।’