আজ শুক্রবার বাদ আছর চ্যানেল আই প্রাঙ্গনে বাংলাদেশের কিংবদন্তী ব্যান্ড সঙ্গীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর দ্বিতীয় জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। জানাজা শেষে তার মরদেহ আবারো হিমঘরে রাখা হয়েছে। সেখান থেকে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে চট্টগ্রামে। মায়ের পাশেই সমাহিত করা হবে তাকে।
এর আগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষ কিংবদন্তী এই শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন। এ সময় তাদের আবেদন ছিলো তার সৃষ্টিকর্ম রক্ষার।
এরপর ১২টা পর্যন্ত শ্রদ্ধা জানানো শেষে আনা হয় জাতীয় ঈদগাহ মাঠে। বাদ জুমআ জাতীয় ঈদগাহ মাঠে আইয়ুব বাচ্চুর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার পর তার মরদেহ মগবাজার তার নিজ স্টুডিও এবি কিচেন- এ নিয়ে যাওয়া হয়।
এসময় অনেকেই আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন, চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি।
অভিনেত্রী সুবর্ণা মোস্তফা বলেন, ‘আমি মনে করি পুরো দেশের ক্ষতি হয়েছে। সে জাতীয় সম্পদ। গান তো সে শ্রোতাদের জন্য গেয়েছে, শ্রোতাদের ভেতরেও তো একটা শূণ্যতা সৃষ্টি হয়েছে।’
সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, ‘একজন ভাইকে হারালাম, আমার বন্ধুকেও হারালম, সংগীতের এক সহযাত্রীকে হারালাম।’
গিটারকে শাসন করেছেন ইচ্ছা মতো, গান গানে মাতিয়েছেন কয়েক দশক, সুর দিয়েছেন, সংগীত সাজিয়েছেন। ছিলেন সংগীতের পরতে পরতে। তাইতো তাকে হারানোয় বেদনার রংটা আরো গাঢ় নীল।
নির্মাতা নাসির উদ্দিন উইসুফ বাচ্চু বলেন, ‘গিটার এবং কণ্ঠ- এই দুটো জিনিস নিয়ে একটি মানুষ সারা বাংলাদেশের তরুণদের মাতিয়ে রেখেছিলো। তার ভাষা, তার সংগীত রীতি, তার সংগীত কৌশল- অনেকের থেকে আলাদা।’
সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘আমার অত্যন্ত প্রিয় একজন মানুষ, তাকে হারালাম। বাংলাদেশের কোটি কোটি সংগীত অনুরাগী একজন মহান শিল্পীকে হারালো।’
যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আইয়ুব বাচ্চুর এই অকাল ও আকস্মিক মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। তার প্রতি আমাদের গভরি শ্রদ্ধাঞ্জলী।’